ঢাকা , বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫ , ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সেনানিবাসের সামনে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের অবস্থান

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৯-১২-২০২৪ ০৩:৩২:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৯-১২-২০২৪ ০৩:৩২:৫৬ অপরাহ্ন
​সেনানিবাসের সামনে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যদের অবস্থান ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সশস্ত্র বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সদস্যরা তিন দফা দাবিতে ঢাকার সেনানিবাসের শহীদ জাহাঙ্গীর গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করছেন। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ১১টা থেকে চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের প্লাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’র ব্যানারে তারা এই অবস্থান নেন।

সকাল ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের ‘সামরিক বাহিনী সংস্কার চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত’ শীর্ষক ব্যানার প্রদর্শন করে জাহাঙ্গীর গেটের বিপরীত সড়কে দাঁড়িয়ে উই ওয়ান্ট জাস্টিসসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। পরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাস্তা ব্লক করে জাহাঙ্গীর গেটের সামনে এসে অবস্থান নেন তারা। তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন বলেন, ‘তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে সড়কের মাঝখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।’ 

তিন দফা দাবি হল—
১. বিগত সরকারের আমলে যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিচ্যুতির সময় থেকে বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
২. যদি কাউকে কোনও কারণে চাকরিতে পুনর্বহাল করা না যায়, তাহলে সব ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা দিয়ে তাকে পেনশনের আওতায় আনতে হবে। 
৩. যে আইনি কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থায় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তার সংস্কার করতে হবে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন সাবেক সেনাসদস্য বলেন, সামরিক বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একতরফা বিচারের মাধ্যমে শত শত সদস্যকে চাকরিচ্যুত করেছে। তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কাউকে কাউকে আয়না ঘরে বন্দি করে অমানবিক নির্যাতনও করা করেছে। সেনাবাহিনীতে যে এখনও ব্রিটিশ আমলের আইন বলবৎ রয়েছে, তা তুলে ধরে আইন সংস্কারের দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দেন চাকরি হারানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা, যারা গত ১৫ বছরে বিভিন্ন সময়ে সরকারের ‘রোষানলে পড়ে’ চাকরি হারানোর অভিযোগ করছেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘মিথ্যা অভিযোগ এনে পর্যাপ্ত প্রমাণাদি ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অনৈতিক কোনও কাজের প্রতিবাদসহ পারিবারিক-রাজনৈতিক কারণেও কাউকে কাউকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।’

এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বকেয়া বেতন-ভাতাসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানান ৫০ জনের বেশি চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য।
 
 
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ